অগ্নিসাগর স্থান করে নিয়েছে কাউখালীর অর্থকরী ফসলের তালিকায়

রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় অগ্নিসাগর কলার বাণিজ্যিক চাষের দিকে ঝুঁকছেন কাউখালীর কৃষকরা। এরই মধ্যে অর্থকরী ফসলের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে অগ্নিসাগর কলা।

বছর দশেক আগে এ উপজেলায় হাতেগোনা দু-তিনটি অগ্নিসাগর কলার বাগান থাকলেও সম্প্রতি বহু বাগান হয়েছে। স্থানীয় চাষিদের দেখে বেকার যুবকরাও উদ্বুদ্ধ হচ্ছে এ জাতের কলা চাষে।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে কাউখালীর লাল কলা।

রেড বানানা বা লাল কলা নামে পরিচিত অগ্নিসাগর কলার খোসার রং হলুদাভ কমলা, গাঢ় কমলা, লাল এবং লালচে বেগুনি হয়ে থাকে। এশিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকার অনেক দেশে জন্মে এই কলা। ভেতরটা প্রচলিত জাতের কলার মতোই হালকা ঘিয়া রঙের, তবে কখনো কখনো গোলাপি আভাও থাকে। এ জাতের কলায় ক্যারোটিন ও ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি থাকে।

red banana-kawkhaliকাউখালীর কৃষকরা সাধারণত কাঁঠালি কলা, সাগর কলা, সবরি কলার চাষ করেন। তবে এখন অগ্নিসাগরের প্রতি ঝুঁকেছেন তারা। কারন এ কলার দাম ও চাহিদা দুটোই বেশি।

প্রতি একর জমিতে ৮০০-১০০০ চারা রোপণ করা যায়। ১১-১২ মাস পর এই রোপণকৃত গাছ থেকে কলা পাওয়া যায়।

কৃষকরা জানান, কলা বিক্রি করার জন্য তাদের দূরে কোথাও যেতে হয় না। বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে বাগান থেকে কলা কিনে নিয়ে যায়। প্রতি হালি (চারটি) কলা ৬০ থেকে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা অপূর্ব লাল সরকার জানান, এ বছর কাউখালীতে  শিয়ালকাঠী, বিড়ালজুরি, জোলাগাতী, চিরপাড়ায় অগ্নিসাগরের চাষ হয়েছে। এ ছাড়া এলাকায় ২৫ হেক্টর জমিতে কলার চাষ হয়।

এখানকার মাটি কলা চাষে বেশ উপযুক্ত হওয়ায় উপজেলায় এটি একটি অর্থকরী কৃষিজ পণ্য হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবে বলে  স্থানীয়রা আশা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.