মো. মাহবুবুল আলম মিন্টু, রায়পুর (লক্ষ্মীপুর): রায়পুর উপজেলার চরমোহনায় জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের রোষানলে পড়েছে কৃষকের ধানক্ষেত।
ক্ষেতে আগাছানাশক, অতিরিক্ত সার বা কীটনাশক বা অজ্ঞাত কোনো কিছু প্রয়োগ করে ধানের বাড়ন্ত চারা ঝলসে দেয়ার অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক উদমারা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আউয়াল। তার চাষকৃত সাড়ে ৩৭ শতাংশ জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। আশেপাশের জমির ধান সতেজ থাকলেও তার জমির ধানের চারা শুকিয়ে খড়ে পরিণত হচ্ছে।

জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে চর বিকন্সফিল্ড গ্রামের মোখলেছুর রহমান মুকবুল ও তাদের লোকজন এ ঘটনা ঘটাতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি।
অজ্ঞাত কিছুর ক্ষতিকর প্রভাবে পুরো ক্ষেতের ধানের চারার অধিকাংশ মরে গেছে। ওই জমি নিজের দাবি করে কাজিরচরের কৃষি শ্রমিক মনু মিয়াকে দিয়ে ক্ষেতে অজ্ঞাত ওষুধ প্রয়োগ করানো হয়েছে বলে মনু মিয়া সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
আব্দুল আউয়াল জানান, তার ভাই আব্দুল মজিদ কাঞ্চনপুর গ্রামের লুৎফুর রহমানের কাছ থেকে ৩.৩১ একর ভূমি ক্রয় করেন। সর্বশেষ আরএস রেকর্ডও তাদের পক্ষে যায়। ২০০৯ সাল থেকে খাজনা পরিশোধ ও ভোগ দখল করছেন তারা। ওই জমির সাড়ে ৩৭ শতাংশ নিজের দাবি করেন ওই এলাকার আতর আলী কোম্পানি বাড়ির মোখলেছুর রহমান ওরফে মুকবুল।
এ নিয়ে অনেকবার স্থানীয় সালিশ-দরবার ও মাপজোখেও মুকবুল নিজের মালিকানা প্রমাণ করতে পারেননি।
কয়েকবার তারা রাতের আঁধারে ওই জমিতে আউয়ালের চাষকৃত ফসলাদি কেটে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বক্তব্য জানার চেষ্টা করেও মোখলেছুর রহমান মুকবুলকে পাওয়া যায়নি।