বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, যুদ্ধাপরাধের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে একের পর এক পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটানো হচ্ছে। মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের দণ্ড কার্যকর হওয়ার সময়কে বেছে নিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করার জন্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও অরাজকতা সৃষ্টি- এদুটি এক সূত্রে গাঁথা। এগুলোর মধ্যে অন্তর্নিহিত সম্পর্ক রয়েছে। তিনি বলেন, এজন্য সরকারকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার পালপাড়া গ্রামে জঙ্গী সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত পুলিশ কর্মকর্তা ইব্রাহীম মোল্লার বাড়িতে তার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা কখনও কোনোভাবেই সন্ত্রাসবাদের কাছে মাথানত করবো না। সন্ত্রাসী জঙ্গীরা শুধু দেশের নয়, বিশ্ব সভ্যতার ও মানবতার শত্রু। আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাস নির্মুল করতে সকলকে একত্রিত হতে হবে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে কোন রকম কালক্ষেপণের সুযোগ নেই। এ বিচার শেষে করতে যত বেশি সময় নেওয়া হবে, শত্রুরা তত বেশি সময় সুযোগ পাবে অপপ্রচার চালানোর।
এক প্রশ্নের জবাবে ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিদেশি বিভিন্ন রাষ্ট্রে হত্যা ও খুনের ঘটনা ঘটলেও সেখানে বিদেশি নাগরিকদের চলাচলে কোনও নিষেধাজ্ঞা জরি করা হচ্ছেনা। সেখানে হঠাৎ করে বিচ্ছিন্ন ঘটনায় একজন বিদেশি নাগরিক হত্যার পর কতিপয় রাষ্ট্র তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে চলাচলে রেড এলার্ট জারি করছে, এটা অনাকাঙ্খিত। এর মাধ্যমে তারা সাধারণের মাঝে ভীতির সৃষ্টি করছে।
ইব্রাহিম মোল্লার পরিবারকে যেন ভবিষ্যতে কোন ধরনের অসচ্ছলতার মধ্যে পড়তে না হয়, এজন্য সরকার ও রাষ্ট্রের প্রতি দাবি জানান জিমানুর রহমান। তিনি মরহুমের কবর জিয়ারত করেন।
এ সময় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মজিবর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, ওসি মো. শমসের আলীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।