গোপালগঞ্জে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে করাতকল ও কাঠ ব্যবসা, উদাসীন বন বিভাগ

হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: লাইসেন্স ছাড়াই সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে বেআইনিভাবে চলছে গোপালগঞ্জের শতাধিক করাতকল। পাশাপাশি জেলার সহস্রাধিক কাঠ ব্যবসায়ীর কারোরই ডিপো লাইসেন্স নেই। ফলে সরকার প্রতিবছর করাতকল মালিক ও কাঠ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ জেলার পাঁচ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে শতাধিক করাতকল (স-মিল)। এছাড়া এ জেলায় সহস্রাধিক ব্যক্তি গ্রাম এলাকা থেকে কাঠ কিনে বিভিন্নস্থানে ডিপো তৈরি করে কেনাবেচা করেন। করাতকলগুলোর মধ্যে মাত্র ১৬টির লাইসেন্স রয়েছে। গোপালগঞ্জের কোনো কাঠ ব্যবসায়ীর ডিপো লাইসেন্স নেই।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মহাসড়কের ঢালে, খাসজমিতে বা নিজস্ব জমিতেই করাতকল গড়ে উঠেছে। বন ভিাগের লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই সেগুলি চলছে বছরের পর বছর। এসব বিষয় দেখার কেউ না থাকায় করাতকল মালিকরা রাস্তা জুড়ে গাছের গুড়ি রেখে যাতায়াতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছে। তাছাড়া প্রতিবছরই রাজস্ব ফাঁকি দেন তারা।

অন্যদিকে, জেলার ফিডার সড়কে বা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ডিপো তৈরি করে যাতায়াত প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কাঠ কেনাবেচা করছে। এসব ব্যবসায়ীর কারোরই ডিপো লাইসেন্স নাই। ডিপো লাইসেন্স কী জিনিস তা জানেনা না কেউ। এ খাতেও সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

ফরিদপুরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান মিয়া বলেছেন, করাতকলের লাইসেন্স না থাকায় ইতোমধ্যে আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। ২০১২ সালের নীতিমালা অনুযায়ী ১৬টি করাত কলের লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। অভিযান আরো চলবে। জেলার সকল করাতকল মালিকদের সরকারি নীতিমালার আওতায় এনে লাইসেন্স প্রদান করা হবে। এছাড়া জেলার কাঠ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। জেলার সকল কাঠ ব্যবসায়ী যাতে ডিপো লাইসেন্স গ্রহণ করে সরকারি রাজস্ব প্রদানে বাধ্য হয় সে লক্ষ্যে কাজ করবে বন বিভাগ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.