কলাপাড়া মুক্ত দিবসে নানা কর্মসূচি

মিলন কর্মকার রাজু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস ৬ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাক হানাদার বাহিনীকে হটিয়ে সাগরপাড়ের কলাপাড়াকে শত্রুমুক্ত করেন অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা। কলাপাড়া থানা দখল করে মুক্তিযোদ্ধারা উড়িয়ে দেন স্বাধীন বাংলার মানচিত্রখচিত লাল-সবুজ পতাকা।

কলাপাড়া থানা দখলমুক্ত করার নেতৃত্ব দেন সেই সময়কার বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) যোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা। কলাপাড়া থানা দখলের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে রাজাকার আবদুল মন্নান মুন্সী ও মনা নিহত হয়।

কলাপাড়া থানা শত্রুমুক্ত করতে ৫৩ জন মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে কলাপাড়ার আটজন অংশগ্রহণ করেন। এরা হলেন বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট (বিএলএফ) যোদ্ধা হাবিবুল্লাহ রানা, মো.রেজাউল করিম বিশ্বাস, এস এম নাজমুল হুদা সালেক, মো.শাহআলম তালুকদার, সাজ্জাদুল ইসলাম বিশ্বাস, আরিফুর রহমান মুকুল খান, পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে পালিয়ে আসা সিপাহি আহমদ আলী ও সিপাহি আশরাফ আলী।

মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম বিশ্বাস মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত এই দিন সম্পর্কে বলেন, ওই রাতে আমাদের পরিকল্পনায় একটু ব্যাঘাত ঘটে। তথ্যের কিছু ভুলের কারণে ২০ গজের ব্যবধানে রাজাকারদের সঙ্গে হঠাৎ আমাদের মুখোমুখি দেখা হয়ে যায় এবং তখনই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কিছু সময় পর যুদ্ধ শুরু হলে পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধ পরিচালিত হতো।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদিউর রহমান বন্টিন জানান, কলাপাড়া মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে আজ ৬ ডিসেম্বর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। সকাল ৬টায় জাতীয় ও সংসদ পতাকা উত্তোলন,বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।  মুক্ত দিবসের আনন্দ র‌্যালি বের হবে সকাল ১১টায়। বেলা ১২টায় সংসদ কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.