প্রতিনিধি, রাজশাহী: ‘র্যাব পরিচয়’ দিয়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতাকে অপরহণ করার তিনদিন পর অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। অপহরণের শিকার শিক্ষার্থী মো. সাইফুজ্জামান সোহাগের বাবা আক্কাস উজ জামান শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন।
আক্কাস উজ জামান বলেন, ‘আমার ছেলের শ্বশুরের কাছে দুপুর ১টার দিকে অজ্ঞাত নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। সেখানে তাকে বলা হয় সোহাগকে পেতে চাইলে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে।’ তিনি আরো জানান, ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছে। থানায় মোবাইল নম্বরটি দিয়ে মামলা করা হবে বলে জানান তিনি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোহাগের শ্বশুর শেখ রেজাউর রহমান বলেন, ‘দুপুরে আমার মোবাইলে একটি কল আসে। সেখানে আমাকে বলা হয়, আপনার জামাইকে যদি সুস্থভাবে ফিরে পেতে চান, তাহলে আমাদেরকে কিছু খরচা-পাতি দেন। সে ভালো আছে কোনো সমস্যা নাই। কতো টাকা দেওয়া লাগবে জিজ্ঞাসা করলে ওপাশ থেকে বলা হয়, এক লক্ষ টাকা দিবেন। আর এর জন্য সোহাগের বাবার সঙ্গেও কথা বলেন। ‘
এর মধ্যে গুজব ছড়িয়ে পরে ওঠে পিরোজপুরে সোহাগকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। তখন তিনি ফোন কেটে দেন।
অপহরণ হওয়া শিক্ষার্থী মো. সাইফুজ্জামান সোহাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক। তার বাড়ি রাজশাহী নগরীর রাজপাড়ার তেরোখাদিয়া পশ্চিমপাড়ায়।
উল্লেখ্য, বুধবার রাত তিনটার সময় র্যাব পরিচয়ে ১৫ জনের একটি দল সাদা মাইক্রোবাসে এসে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু র্যাব ঘটনা অস্বীকার করে বলেছে তারা এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তারা জানে না। সোহাগের সঙ্গে তার ৮০ হাজার টাকার ক্যামেরা, ল্যাপটপ ও তার স্ত্রীর গহনাও নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় সোহাগের বাবা নগরীর রাজপাড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। এর আগে শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনও করা হয়।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব রহমান জানান, বিষয়টি পুলিশের পক্ষ থেকে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।