প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ মাসকাটাদীঘি এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইবাসের চালক, স্বামী-স্ত্রী ও কলেজছাত্রীসহ সাতজন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। তাদের সবাইকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুর একটার দিকে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে মাসকাটাদীঘি পশ্চিমপাড়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে রাজশাহী-নাটোর সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আবু জাফর সাতজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ন্যাশনাল ট্রাভেলস-এর চালক নারায়ণগঞ্জের শহীদুল ইসলাম শহীদ (৫০) ও রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া অর্না ট্রাভেলসের চালক নাটোরের তকিয়া এলাকার নুরুন্নবীর ছেলে মিন্টু (৪০), রাজশাহীর দুর্গাপুরের আড়িয়াল গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান (৬৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার নওসিরা গ্রামের আজগার আলী (৫৫) ও তার স্ত্রী বেলিয়ারা বেগম (৫০), পুঠিয়ার ভাল্লুকগাছি গ্রামের ময়েনউদ্দিন (৭০) এবং রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ফতেপুর গ্রামের ফারুক হোসেনের মেয়ে ফারজানা শেখ লুবনা (২৮)।
লুবনা রাজশাহী সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ন্যাশনাল ট্রাভেলস-এর একটি বাস রাজশাহী শহরে ঢুকছিল। অন্যদিকে আরেকটি বাস রাজশাহী থেকে বাগমারার তাহেরপুরে যাচ্ছিল। দুপুর একটার দিকে দুটো বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চাপা পড়ে একটি অটোরিকশাও। এতে বাস দুটি উল্টে যায়। ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাজশাহী দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অবস্থায় অন্তত ৫০ জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে নেয়ার পর পাঁচজন মারা যান। আর ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতালে পাঠানো হয় আরো দুটি লাশ। রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, আহতদের মধ্যে আরো অন্তত আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনার পর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুর্ঘটনা কবলিত দুটি বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়ে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (পূর্ব) আবু জাফর।