যুদ্ধদিনের গল্প শোনালেন মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর খান

রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): ‘১৯৭১ সালের জুন মাসের মাঝামাঝি। পিরোজপুরের কাউখালী থানা থেকে পুলিশ ও রাজাকারের দল উপজেলার  কেউন্দিয়া গ্রামে আসে।  কেউন্দিয়া গ্রামের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গড়ে উঠেছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। হাতিয়ার ছিল বাঁশের লাঠি আর বল্লম।  সেদিন কেউন্দিয়া খালের পাড়ে শুরু হয়েছিল প্রথম প্রতিরোধযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ও রাজাকার বাহিনীকে দাঁতভাঙা জবাব দিয়েছি।’

বুধবার মহান বিজয় দিবসে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি বালক বিদ্যালয় মাঠে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মাঠে শিক্ষার্থী ও সমবেত জনতার মাঝে এভাবে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন মুক্তিযোদ্ধা শুক্কুর খান।

liberation war stories told to kawakhali studentতিনি বলেন, ‘ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝালকাঠির কুতুবকাঠি, কাউখালী উপজেলার আইরণ জয়কুলের যুদ্ধ, বরিশালের বানারীপাড়ার যুদ্ধ, গাবখান নদীর জুলুহারের শেখেরহাট যুদ্ধ, নলছিটি ছাছৈর গ্রামের যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যুদ্ধ করেছি। উপকূল অঞ্চল  থেকে পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে বিতাড়িত করেছি আমরা।’

এর আগে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা রণাঙ্গন থেকে তাদের স্বজনদের কাছে বিভিন্ন সময় লেখা কিছু চিঠি নতুন প্রজন্মকে পাঠ করে শোনান  কাউখালী তথ্যকেন্দ্র ও   সংগ্রহশালার প্রতিষ্ঠাতা আব্দুল লতিফ খসরু।

কাউখালী উপজেলার কেউন্দিয়া গ্রামের বিমান বাহিনীর সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস শুক্কুর খান মুক্তিযুদ্ধে ৯ নম্বর সেক্টরে মেজর জলিলের নেতৃত্বে বৃহত্তর বরিশালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.