প্রতিনিধি, খুলনা: খুলনায় বাবা ও তার প্রতিবন্ধী কন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের ধারণা, মেয়েকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন বাবা। বুধবার নগরীর আহসান আহমেদ রোড এলাকার একটি বাড়ি থেকে জোড়া লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন মো. মোস্তফা কামাল (৪৯) এবং তার মেয়ে আইরিন (১৭)। মোস্তফা কামাল খুলনার পরমাণু শক্তি কমিশনের হিসাবরক্ষক পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আট্টাকি গ্রামের বাসিন্দা মোস্তফা কামাল ৮নং আহসান আহমেদ রোড এলাকার তিনতলা বাড়ির নিচতলায় সপরিবারে ভাড়া থাকতেন। তার বড় মেয়ে আইরিন জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী ছিল। মঙ্গলবার রাতে তারা খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। বুধবার সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ বাবা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।
খুলনা সদর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার জিয়া উদ্দিন বলেন, দুজনের লাশ একটি কক্ষের মধ্যে পাওয়া গেছে। ঘরটি ভেতর থেকেই বন্ধ করা ছিল। গলায় ওড়নার ফাঁস লাগানো অবস্থায় মেয়ের লাশ পাওয়া যায়। আর পিতার লাশ সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ কারণেই ধারণা করা হচ্ছে মেয়েকে হত্যার পর পিতাও আত্মহত্যা করেছেন।
মোস্তফা কামালের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, তিনি ফজরের নামাজের সময় ঘুম থেকে উঠে তার স্বামীকে ডাকার জন্য ঘরের দরজায় ধাক্কাধাক্কি করেন। কোনে সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালা দিয়ে ফ্যানের সাথে স্বামীকে ঝুলতে দেখতে পান। এরপরই প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে স্বামী ও মেয়ের লাশ দেখতে পান।
ইয়াসমিন আক্তার অভিযোগ করেন, এক মাস আগে স্পাইনাল কর্ডের অপারেশর কারণে তার স্বামী কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা ছিল। এ কারণে খুলনার পরমাণু শক্তি কমিশনের চার তলায় উঠে অফিস করতে তার কষ্ট হতও। যে কারণে তিনি ওই অফিসের পরিচালক ডা. অশোক কুমার পালের কাছে নিচতলায় অফিস করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেন। কিন্তু তাকে সে অনুমতি দেয়া হয়নি। তার স্বামী ডায়েরিতে একটি চিরকুটে এ বিষয়টি লিখে লিখে গেছেন। পুলিশ ডায়েরিটি উদ্ধার করেছে।