রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): ঢাকা-কাউখালী-খুলনা নৌরুটে চলাচলকারী স্টিমার সার্ভিসের ভাড়া তিন বছর আগে বাড়ানো হলেও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এখনো ভাড়া আদায়ে পুরানো টিকিটে ব্যবহার করছে। টিকেটে উল্লেখিত মূল্যের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করায় যাত্রীরা প্রতারণা ও হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের ৭ মার্চ দক্ষিণাঞ্চলে নৌপথে চলাচলকারী স্টিমার সার্ভিসে নতুন ভাড়া নির্ধারণ করলেও নতুন টিকেট ছাপেনি । তাই ভাড়া আদায়ে পুরানো টিকিটে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যাত্রীদের কাছ থেকে জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে যেসব টিকিট ব্যবহৃত হতো নতুন হারে ভাড়া আদায়ে একই টিকেট ব্যবহার হচ্ছে। এ নিয়ে যাত্রীদের সাথে সংশ্লিষ্ট স্টিমারকর্মীদের প্রায়ই বাকবিতণ্ডা হচ্ছে। নতুন ভাড়ায় এক যুগ আগের টিকিট ব্যবহার করায় সরকারি কিংবা বেসরকারি চাকুরিজীবী যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দাপ্তরিক ভ্রমণের বিলে পুরানো টিকিট জমা দিয়ে বিল করার ক্ষেত্রে তারা ঝামেলায় পড়েন।
টিকিট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, পুরানো টিকিটে কাউখালী-হুলারহাটের সুলভ শ্রেণীর ভাড়া লেখা আছে ১০ টাকা, কিন্তু ২০১৩ সাল থেকে এই ভাড়া ৩৫ টাকা। কাউখালী-চরখালীর ভাড়া ১২ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা, কাউখালী-মাছুয়া ৩০ টাকা থেকে ৬৫ টাকা, কাউখালী-ঢাকা ১০৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০৫ টাকা হলেও পুরনো টিকেটেই ভাড়া আদায় হচ্ছে। তবে একমাত্র ব্যতিক্রম কাউখালী-বরিশাল রুটে। এ রুটে নতুন টিকিটে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৬৫ টাকা।
এ ব্যাপারে কাউখালী উত্তর বন্দরের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এভাবে ভাড়া আদায় করতে গিয়ে স্টিমার স্টাফদের সাথে প্রায়ই তর্কে জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা।
কাউখালী স্টিমার ঘাটের টিকিট কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা দীলিপ মজুমদার বলেন, শুধুমাত্র বরিশাল ও ঝালকাঠি রুটের জন্য নতুন নির্ধারিত ভাড়ার টিকিট রয়েছে । বাকি রুটগুলোতে পুরানো টিকিটের উপরে সিল মেরে অথবা হাতে লিখে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। পুরানো টিকিট শেষ হলেই সব রুটের জন্য নতুন টিকিট আসবে।