হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: কেন্দ্র ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া, পুলিশের লাঠিচার্জ ও গুলি এবং কেন্দ্র স্থগিতের মধ্য দিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ১৪ ইউনিয়নে নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচন কমিশন একটি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত ঘোষণা করে।
বেলা ১১ টার দিকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার হাতিয়াড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে গীতাঞ্জালী যুব সংঘ কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, ভোটকেন্দ্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এসময় দুই মেম্বার প্রার্থীসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ওই কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা টেবিলে ভোট নিতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা বাধা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। ফলে দেড় ঘন্টা ভোট গ্রহণ বন্ধ থাকে।
দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে বেথুড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে রামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা কেন্দ্র দখল করতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ও বিজিবি গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ওই কেন্দ্রে ৪০ মিনিট ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে নির্বাচন কমিশন থেকে ওই কেন্দ্রটি স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
অপরদিকে, বিকাল পৌনে ৩ টার দিকে কাশিয়ানী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ৩ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ কেন্দ্রটিতে প্রায় ১৫ মিনিট ভোটার উপস্থিত ছিল না। পরে আবার ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
হাতিয়াড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে গীতাঞ্জালী যুব সংঘ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সত্যেন্দ্রনাথ রায় ও বেথুড়ি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রামদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার এসএম ফজলুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।