হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: শনিবার গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সফরে তিনি বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্ধোধন ও ভিত্তিপ্রস্থার স্থাপনসহ সুধি সমাবেশে যোগ দিবেন। তাঁর আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গীপাড়ায় ও কোটালীপাড়া উপজেলায় চলছে সাজ-সাজ বর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে নেওয়ায় হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২ এসএম খুরশিদ-উল-আলম স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ৩০ এপ্রিল শনিবার সকালে টুঙ্গীপাড়া পৌঁছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধী সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহাপাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নিবেন।
এরপর তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়ায় ১শ ৭৮ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, মধুমতি নদীর উপর প্রায় ৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৫শ ৮৮ মিটার দীর্ঘ চাপাইল ব্রীজ, টুঙ্গিপাড়ার প্রধান ডাকঘর, গোপালগঞ্জ জেলা শিশু একাডেমী কমপ্লেক্স ও জাতীয় মহিলা সংস্থার ভবন উদ্ধোধন করবেন।
এছাড়া তিনি একই স্থান থেকে শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, ১০ কিলো-ওয়াট এফ-এম রেডিও স্টেশন, টুঙ্গিপাড়া ও মুকসুদপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং কাশিয়ানী থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা পর্যন্ত প্রায় ৩৩ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
সেখান থেকে সড়ক পথে তিনি তাঁর নির্বাচনী এলাকা কোটালীপাড়ায় যাবেন এবং শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ সরকারী কলেজ মাঠে কোটালীপাড়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এবং ১০০টি প্রাথমিক ও ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া বিতরণ কার্যক্রমের উদ্ধোধন করবেন। পরে বিকালে শেখ লুৎফর রহমান ডিগ্রি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগদান করবেন।
প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় এখন উৎসবের আমেজ বইছে। সড়কে একাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। মাজার কমপ্লেক্স পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে।
শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক ডা: মো: সিরাজুল ইসলাম মোল্লা জানান, গোপালগঞ্জ ও আশপাশ জেলার মানুষ নামমাত্র ১০ টাকার বিনিময়ে চক্ষু সেবা নিতে পারবেন। এখন থেকে টাকা খরচ করে পদ্মার এপারের মানুষকে চোখের চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে হবে না।
এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী একে ফজলুল হক জানান, চাপাইল ব্রীজ নির্মাণের ফলে গোপালগঞ্জ, নড়াইল, খুলনা ও বাগেরহাটের মানুষের যোগাযোগের নতুন দ্বার উম্মোচন হবে। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ খুশি। এতে যোগাযোগ ক্ষেত্রে এলাকার মানুষ সুবিধা পাবে, তেমনি এ অঞ্চলের মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার এসএম এমরান হোসেন জানান, শনিবার প্রধামন্ত্রী, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ গোপালগঞ্জ সফর করবেন। তাদের আগমন উপলক্ষে সারা জেলায় নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।