প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু বলেছেন, সুন্দরবনে যারা আগুন দিয়েছে তারা সংখ্যায় গুটিকয়েক। এরা এ এলাকার মানুষ। এদের আপনারা চেনেন জানেন। তাই সুন্দরবন রক্ষার জন্য ওই অপরাধীদের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে তুলে দিন। রবিবার দুপুরে শরণখোলা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বনবিভাগ আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে মন্ত্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এ আহ্বান জানান।
তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের বেশ কিছু নদী খাল শুকিয়ে গেছে। এসব নদী খাল পূন খনন করা হবে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের দুটি রেঞ্জে বনজীবীদের পাশ পারমিট বন্ধ থাকা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বনে বার বার আগুন লাগার কারণে তা বন্ধ রাখা রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তা আবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহম্মদ অতুল মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলী, বন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মো. জহির উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আকনসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
এর আগে তিনি সকালে হেলিকপ্টারযোগে শরণখোলায় নেমে এক মাসে চার দফা সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের ২৫ নাম্বার কম্পার্টমেন্টের তুলাতলায় আগুন লাগা এলাকা পরিদর্শন করেন।
সুন্দরবনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে আরও ৪জন আটক
সুন্দরবনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে আরও ৪ জনকে পুলিশ আটক করেছে। রবিবার দুপুরে বনসংলগ্ন শরণখোলা উপজেলা থেকে সন্দেহভাজন এ চার জনকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা আটক করেন।
আটক ব্যক্তিরা হলো, শরণখোলা উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন উত্তর রাজাপুর গ্রামের রুস্তুম হাওলাদার (৫০), পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২), একই গ্রামের ইসাহাক হাওলাদার (৫০) ও সুলতান হাওলাদারের ছেলে সোহেল হাওলাদার (২২)।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম ফরাজি জানান, সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের ধানসাগর স্টেশনের নাংলি ফরেস্ট ক্যাম্প এলাকায় আগুন লাগার ঘটনায় ১৯ এপ্রিল শরণখোলা থানায় মামলা করা হয়। বন বিভাগের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে ৯/১০ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন। তিনি আরো জানান, সুন্দরবনে আগুন লাগানোর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই চারজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল একই অভিযোগে খলিলুর রহমান হাওলাদার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এনিয়ে সুন্দরবনে আগুন দেওয়ার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হলো।