জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কুঠিদুর্গপুর গ্রামে হিন্দু মেয়ের বিয়ের দাবি মেনে নিতে ও প্রতারক ইমরান হোসেন নামের এক প্রেমিকের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে গ্রামবাসী। শনিবার সকালে শত শত গ্রামবাসী কুটিদুর্গাপুর শৈলমারী বাজারে মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
ইমরান হোসেন ঝিনাইদহ শহরের কেসি কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মেয়ে মুক্তি রাণী একই কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
ঝিনাইদহের কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের মেম্বর কলিম উদ্দিন জানান, কুটিদূর্গাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে ইমরান হোসেন পার্শ্ববর্তী ডেফোলবাড়ি গ্রামের সরজিত কুমারের মেয়ে মুক্তি রানীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক করে ৩ বছর ধরে ঝিনাইদহ শহরে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করতো। মুক্তি রানী সম্প্রতি বিয়ের জন্য চাপ দিলে ইমরান তা অস্বীকার করে।
এ ঘটনার পর গত ৮ মে তারিখ মুক্তি রানী বিয়ের দাবিতে ইমরানের বাড়িতে অবস্থান করে। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী বেতাই পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই তরিকুল ইসলাম মেয়েটির পরিবারকে বুঝিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনার পর দিন আবার মুক্তি রানী ইমরানের বাড়িতে আবার চলে আসে।
পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাকে বর্তমানে বাগেরহাট সেফহোমে পাঠিয়ে দেয়। আগামী ২৪ মে বিষয়টি নিয়ে আদালতে মিমাংসা হবে।
এদিকে ইমরানের বাবা জানান, তার ছেলেকে ফিরে পেলে বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তিনি আরো জানান, মুক্তির দাবি ইমরান হিন্দুধর্ম গ্রহণ করে তার সাথে বসবাস করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং ইমরানের শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে কুটিদুর্গাপুর-শৈলমারী বাজারে শত শত গ্রামবাসী মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। তাদের দাবি ইমরানের সাথে মুক্তি রানীর বিয়ে দেওয়া হোক।
ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, বিষয়টি তিনি জানেন। পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় ঘটনাটি আদালত পর্যন্ত গেছে।