বাবুল সরদার, বাগেরহাট: বাগেরহাটের কচুয়ায় আয়না খাতুনকে (১৭) বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে আজাদ খানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে দণ্ডপ্রাপ্তকে এক লক্ষ টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মো. রেজাউল করিম এই রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আজাদ খান (৪০) কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে।
মামলা সূত্রে গেছে, বাগেরহাটের গাবরখালী গ্রামের মৃত হোসেন আলীর মেয়ে আয়না খাতুনকে (১৭) বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে আজাদ খান। একপর্যায়ে ঐ তরুণী অন্ত:সত্বা হয়ে পড়লে বিয়ের জন্য আজাদকে চাপ প্রয়োগ করে। পরে আজাদ কৌশলে ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আয়নাকে ডেকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী চাড়াখালী গ্রামের বাবুল সেখের সুপারি বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এ এস আই মিয়ারত হোসেন বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামি আজাদ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই জিয়াউর রহমান ২০১৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি আজাদকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আজাদ খান আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিল।
এই মামলার রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌশলী (এপিপি) শরৎ চন্দ্র মজুমদার বলেন, এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এই রায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।