বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া জুনায়েদ হাওলাদার (১১) নামে এক শিশুকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ তার মা জয়নব বেগম (৩১) ও সৎ বাবা মুনছুর শেখকে (৪০) আটক করেছে। রবিবার রাতে পুলিশ সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর গ্রাম থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করেছে। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে লাশের ময়নাতদন্ত হয়েছে।
প্রায় সাত বছর আগে বাগেরহাট শহরতলীর দেওয়ানবাটি গ্রামের বিল্লাল হাওলাদারের সাথে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জয়নাব বেগম ফকিরহাট উপজেলার মুনছুর শেখকে বিয়ে করেন। এর পর থেকে জুনায়েদ তাদের সঙ্গে থাকতো। জুনায়েদ শহরতলীর চিতলী বৈটপুরের উদ্দীপন বদর শামছু বিদ্যা নিকেতনের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ছিল। জুনায়েদের বাবা বিল্লাল হাওলাদার জানান, তার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর জয়নব সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মচারী মুনছুর শেখকে বিয়ে করেন। ওই সময় জুনায়েদকে তিনি জোর করে তার কাছে নিয়ে যান। রবিবার বিকেলে ছেলের মৃত্যুর সংবাদ শুনে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি অভিযোগ করেন, তার মা ও সৎ বাবা মিলে জুনায়েদকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।
তবে জুনায়েদের মায়ের দাবি রবিবার দুপুরে স্কুল থেকে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরে জুনায়েদ ভাত খেতে চায়। এ সময় ছেলেকে মারধর করলে অভিমান করে সে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বাগেরহাট মডেল থানার এসআই রমেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় রশির দাগের চিহ্ন পাওয়া গেছে। বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) গাজী ইকবাল হোসেন বলেন, জুনায়েদের বাবা বিল্লাল হাওলাদারের অভিযোগের ভিত্তিতে জয়নব বেগম ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের কর্মচারী মুনছুর শেখকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।