সোহরাব হোসেন, পটুয়াখালী: বেকার যুবক-যুব নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অনলাইনের মাধ্যমে আয় নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীনে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় পটুয়াখালীতে ৫০ দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
প্রশিক্ষণার্থীদের গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। প্রশিক্ষণ শেষে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কাজ পাইয়ে দিতে তাদের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও বিভিন্ন আইটি ফার্মে তিন মাসের ইন্টার্ন করার সুযোগও করে দেয়া হবে বলে জানান প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারী মো. আশরাফুর রহমান।
প্রকল্পের আওতায় ৫০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণে পটুয়াখালীর ১৬০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। চূড়ান্তভাবে বাছাইকৃত এসব প্রশিক্ষণার্থীদের প্রতিদিন চার ঘণ্টা করে মোট ২০০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের অনলাইন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা এ প্রশিক্ষণে অংশ নেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন বলে জানান প্রশিক্ষণ বাস্তবায়নকারি সহযোগী সংগঠন ’ক্যাপাসিটি বিল্ডিং সার্ভিস লিমিটেডের সংগঠক মো. ইমরান হোসেন।
শনিবার সকাল ১০ টায় পটুয়াখালী শহরের একেএম কলেজের শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. তবিবুর রহমান।
একেএম কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণের নিয়ম-কানুন ও লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বর্ণনা করেন প্রশিক্ষণের সমন্বয়কারি মো. আশরাফুর রহমান।
প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে ১ টা ও দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত এ দু‘ব্যাচে প্রশিক্ষণার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী বেকার যুবক রুবেল আলম বলেন, ¯œাতক পাস করার পর কয়েক বছর বেকার জীবন যাপন করছি। এবারে লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের অধীনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকার জীবনের অবসার ঘটাতে চাই।
প্রশিক্ষিত যুবত-যুব নারীদের ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রশিক্ষণ সংগঠক মো. ইমরান হোসেন।
উল্লেখ্য, ৩ বছর মেয়াদী লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পটি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শুরু হয় এবং এটি শেষ হবে ২০১৭ সালের জুনে। ১৮০.৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৬ হাজার ৯২০ জন বেকার যুবক-যুব নারীকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে।