মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এই বেসামরিক পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী উভয়েই অনুষ্ঠানের সাফল্য কামনা করেন।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘একুশে পদক ২০২৪’র জন্য ২১ বিশিষ্টজনের নাম ঘোষণা করা হয়। এ বছর ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দু’জন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দু’জন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজনকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।
ভাষা আন্দোলন বিভাগে পুরস্কারের জন্য মৌ. আশরাফুদ্দীন আহমদ (মরণোত্তর) ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হাতেম আলী মিয়ার (মরণোত্তর) নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
শিল্পকলা বিভাগে সংগীত ক্যাটগরিতে জালাল উদ্দীন খাঁ (মরণোত্তর), বীর মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণী ঘোষ (মরণোত্তর), বিদিত লাল দাস (মরণোত্তর), এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর), শুভ্রদেব; নৃত্যকলা ক্যাটগরিতে শিবলী মোহাম্মদ; অভিনয় ক্যাটগরিতে ডলি জহুর ও এম এ আলমগীর; আবৃত্তি ক্যাটগরিতে খান মো. মুস্তাফা ওয়ালিদ (শিমুল মুস্তাফা) ও রূপা চক্রবর্তী; চিত্রকলা ক্যাটগরিতে শাহজাহান আহমেদ বিকাশ; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও আর্কাইভিং ক্যাটগরিতে কাওসার চৌধুরী; সমাজসেবা বিভাগে মো. জিয়াউল হক, রফিক আহামদ; ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে মুহাম্মদ সামাদ, লুৎফর রহমান রিটন, মিনার মনসুর, রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ (মরণোত্তর) এবং শিক্ষা বিভাগে প্রফেসর ড. জিনবোধি ভিক্ষু এ পুরস্কার পেলেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ‘একুশে পদক’ প্রবর্তন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় পুরস্কার হিসেবে স্বর্ণপদক, সম্মাননা সনদ ও নগদ অর্থ দেয়।