ফেনীতে টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। এতে জেলার সবকটি উপজেলার মানুষ পানিবন্দী হয়ে জীবনযাপন করছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় পানি কমতে শুরু করলেও অন্যান্য উপজেলায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে বন্যার কারণে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রয়েছে।
ঢাকা-চট্রগ্রাম জাতীয় মহাসড়কসহ জেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি উঠায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় মানুষজন জীবন বাঁচাতে ছোট শিশুকে কোলে নিয়ে নৌকা ও বিভিন্ন বাহন করে অন্যত্র নিরাপদ স্থানে চলে যেতে দেখা যায়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। এছাড়াও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্থানীয়রা জানান, গত ১৯৮৮ সালে একবার ভয়াবহ বন্যায় বাড়ি ঘরে পানি উঠেছিল। এবারের বন্যা তার চেয়ে ভয়াবহ। বাড়ি ঘরে গতবারের চেয়ে বেশী পানি উঠেছে। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতির কারনে আমরা মাসে কয়েকবার পানিতে ডুবে ভোগান্তিতে পড়ছি। আমরা ত্রাণ চাই না, স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ চাই।
উল্লেখ, গত সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর থেকে ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন পুরনো ভাঙ্গন স্থান ও নতুন ভাঙ্গন স্থান দিয়ে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। পরে বন্যার পানি অন্যান্য উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত করে।