আতাউর রহমান মিন্টু, গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপাধ্যক্ষ আতাউর রহমান রোববার বিকেলে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগের একটি মতবিনিময় সভা চলার সময় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় রাতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও স্থানীয় জেএম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আতাউর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
আতাউরের আটকের প্রতিবাদে আজ দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী এবং জেএম সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল ও থানা ঘেরাও করে। তার মুক্তির দাবিতে সমর্থকরা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওর এক্সপ্রেস ২০ মিনিট এবং ময়মনসিংহগামী বলাকা ট্রেন আধাঘন্টা আটকে রাখে।
বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উপজেলা সদরে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল এবং স্থানীয় রেলস্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরে সারাদিনই খন্ড খন্ড বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
জানা গেছে, পুলিশ শনিবার রাত তিনটার দিকে উপজেলার বখুরা গ্রামের বাড়ি থেকে আতাউর রহমানকে আটক করে। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমানকে গফরগাঁও থানা হাজতে না রেখে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানা হাজতে রাখা হয়।
আজ রোববার দুপুরে শহরের জেএম সিনিয়র মাদ্রাসার কয়েক শ’ ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আতাউর রহমানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে থানা ঘেরাও করে। এ সময় তাদের সাথে উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যোগ দেয়।
গফরগাঁও থানার ওসি মো. তোফেজ্জল হোসেন বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-ছাত্রী ও নেতাকর্মীদের এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
উল্লেখ্য, শনিবার বিকেলে উপজেলার সান্দিয়াইন গ্রামে ছাত্রলীগের মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক ওবায়দুল্লাহ আনোয়ার বুলবুলসহ কমপক্ষে ১৬ জন আহত হয়। হামলাকারীরা বুলবুলের ব্যক্তিগত গাড়িসহ দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
ওসি তফাজ্জেল হোসেন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি।