ফলোআপ
প্রতিনিধি, বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে আীওয়ামী লীগ নেতা মাজেদ সরদার হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
মাজেদ সরদারের আপন ভাগ্নে সিরাজুল ইসলাম নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ শনিবার দুপুরে এ জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
জমিজমা ও পাওনা টাকা সংক্রান্ত অসন্তোষই এ হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ বলে আদালত সূত্র জানা গেছে।
রামপাল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার বড় দুর্গাপুর এলাকা থেকে শেখ জালাল উদ্দিনের ছেলে ও নিহতের আপন ভাগনে সিরাজুল ইসলামকে (৩২) আটক করে থানায় এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে জানতে পারে বলে জানান ওসি রফিকুল ইসলাম।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইমারাত হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সিরাজুল ইসলামের অস্বাভাবিক আচরণে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেয়। তাকে আটক করলে তিনি তার মামাকে জবাই করে হত্যার কথা স্বীকার করেন। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী একটি ঘের থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গত ১৯ অক্টোবর রাত অানুমানিক সোয়া আটটার দিকে মাজেদের বাড়ি ফেরার পথে সিরাজ কালিকাপ্রসাদ ডুবার ঘের এলাকায় সরকারি রাস্তার উপর পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে বসে ছিলেন।
নাগালের ভেতর পেয়েই সিরাজ অতর্কিতভাবে মাজেদের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলে তিনি পড়ে যান। এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কপালের দুই পাশে ছুরিকাঘাত করার পর নৃশংসভাবে জবাই করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান সিরাজ।
মায়ের উত্তরাধিকার সম্পত্তি ও পাওনা টাকা না পেয়ে তিনি মামার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। পাওনা চাইলে একাধিকবার তিনি মামার কাছে নিগৃহীত হয়েছেন বলে পুলিশকে জানান। পুলিশ আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তাকে আদালতের সোপর্দ করেন।
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌস আরা বেগম বাদী হয়ে অক্টোবর পাঁচজনের নাম উল্লেখ পূর্বক ও অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন (মামলা নং- ৯)। ফেরদৌস আরার অভিযোগে সিরাজের নাম ছিল না।
পুলিশের সর্বশেষ পর্যবেক্ষণে খুনের সঙ্গে মামলার আসামিদের সংশ্লিষ্টতা এখনো পাওয়া যায়নি বলে থানা সূত্রে জানা গেছে
4:36:36 PM