রবিউল হাসান রবিন, কাউখালী (পিরোজপুর): বাথরুম ব্যবহারের কথা বলে ঘরে ঢুকে একদল দুর্বৃত্ত পরিবারের লোকজনকে জিম্মি করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
আজ বুধবার সকাল নয়টার দিকে কাউখালী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসিন্দা রেহানা আক্তার হ্যাপি ও তার সন্তানকে জিম্মি করে এ লুটের ঘটনা ঘটে। হ্যাপির স্বামী ছরোয়ার হোসেন ঢাকায় চাকরি করেন।
হ্যাপি জানান, বুধবার সাড়ে ৮টার সময় তার মা তার বড় বাচ্চাকে নিয়ে স্কুলে যান। এর কিছুক্ষণ পর বোরখা পরা অজ্ঞাত তিন নারী বাসার কলিং বেল টিপে । হ্যাপি দরজা খুললে তারা জানায়, তারা সরোয়ারের নিকটাত্মীয়। বাথরুম করার জন্য তারা প্রবেশ করতে চায়। হ্যাপি তাদেরকে ঘরের ভিতরে বাথরুম দেখিয়ে দেন।
একজন প্রথমে বাথরুমে ঢুকে কিছুক্ষণ পর বেরিয়ে আসে। এসময় অন্য একজন পুরুষ লোক ওই ঘরে প্রবেশ করে। হঠাৎ করেই তারা দুই বছরের শিশু আরাফাতের গলায় গলায় চাকু ধরে হ্যাপিকে কোন চিৎকার না করার জন্য নির্দেশ দেয়। দুর্বত্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে আলমারির চাবি নিয়ে নেয়। এরপর দুর্বৃত্ত দল হ্যাপির হাত ও মুখ বেঁধে ফেলে।
দুর্বৃত্তরা আলমারি থেকে নগদ ৭০ হাজার টাকা ও প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণলঙ্কারসহ মালামাল নিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
আধা ঘন্টা পরে হ্যাপির ভাই আনিচুর রহমান দরজা খোলা দেখে ঘরে ঢুকে তার বোনকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। তিনি চিৎকার দিলে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
খবর পেয়ে কাউখালী থানার উপ-পরিদর্শক মো. ওসমান গনি সেখানে যান। তিনি জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত ছিনতাই । এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।