ফলোআপ: মংলায় ঠিকাদারের মৃত্যু
জাহিবা হোসাইন, মংলা (বাগেরহাট): মংলার ঠিকাদার খোকা তালুকদার সঙ্গীদের নিয়ে মদ পান করে বাড়ি ফেরার পথে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সঙ্গী নাজমুল ও তপনসহ হোটেল পশুর সংলগ্ন বারে মদ পান করেন তিনি। বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনায় তিনজনই আহত হন।
দুর্ঘটনার পর পথচারী ও নসিমন চালকেরা তাদেরকে উদ্ধার করলে রাতেই তাৎক্ষণিকভাবে খোকা ও নাজমুলকে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার খোকাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে গুরুতর আহতাবস্থয়া চিকিৎসাধীন রয়েছে নাজমুল হোসেন। আর তপন ঘোষ গোপালগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এর আগে খোকার মৃত্যুকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড দাবি করে তার পরিবার। তারা বলছে, খোকাকে প্রতিপক্ষের লোকজন হত্যা করে দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে প্রচার চালাচ্ছে। এলাকার অনেকেও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে সন্দেহ করেছেন।
তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে অপপ্রচার বলা হচ্ছে।
আহত নাজমুলের বাবা জাকির হোসেন বলেন, তার ছেলে নাজমুল, খোকা ও তপন ঘটনার দিন রাতে হোটেল পশুরের ‘বার’ থেকে মদ খেয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে দুর্ঘটনার শিকার হন। তখন ওই গাড়িটিতে নাজমুল, খোকা ও তপন তিনজনই ছিলেন। এদের মধ্যে নাজমুল ও গুরুতর আহত খোকাকে উদ্ধারের পর খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে খোকা সেখানে মারা যায়। আর নাজমুলের অবস্থাও খুব খারাপ।
এদিকে মৃতদেহের সুরতহাল করা কর্মকর্তা এস আই আকরাম বলেন, খোকা দুর্ঘটনায় মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তার শরীরে গুরুতর আঘাত রয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষায় এসব আঘাতের কারণ বেরিয়ে আসবে।
মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফুর রহমান বলেন, খোকা মারা যাওয়ার বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে সন্ধ্যায় কিংবা রাতে তাদের একটি অভিযোগ দেয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া খোকার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশের তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।