হায়দার হোসেন, গোপালগঞ্জ: পরকীয়া প্রেমকে সফল করার জন্য গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ভোজেরগাতি গ্রামের দুই শিশু সন্তানকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন ওই দুই শিশুর মা।
আজ শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম কুমার ঘোষের আদালতে নিহত শিশুদের মা জান্নাতুল ফেরদাউস কুলসুমকে হাজির করা হয়। পরে সেখানে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন কুলসুম।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে কুলসুম তার ১০ বছর বয়সী ছেলে রায়হান সরদারকে হাত-পা বেঁধে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে দিয়ে হত্যা করেন আর চার বছরের ছোট ছেলে রইজ সরদারকে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন বলে আদালতকে জানান কুলসুম।
গোপালগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) আমিরুল ইসলাম জানান, কুলসুমের বাবা মাওলানা বেলাল মাদারীপুরের একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। গত বছর তিনি মারা যাবার পর থেকে তার মোবাইল সিমটি ব্যবহার করতেন কুলসুম।
ওই সিমে বিভিন্ন স্থান থেকে ফোন আসত। নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে রানা নামে এক বিবাহিত ব্যক্তি তার মোবাইলে ফোন দেন। কথা বলার সূত্র ধরে রানার সাথে কুলসুমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তারা প্রেমে জড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু কুলসুমের দুই সন্তান তাদের ভালোবাসার বাধা হয়ে দাঁড়ায়। প্রেমের সফল পরিণতির জন্য প্রেমিক রানার কথামতো দুই শিশু সন্তানকে তিনি হত্যা করেন বলে জবানবন্দিতে জানান কুলসুম।
হত্যাকাণ্ডের রাতে একাধিকবার রানা কুলসুমের সাথে কথা বলেছেন। সর্বশেষ রাত ৮টা ১০ মিনিটে তাদের সাথে কথা হয়।
এ ব্যাপারে শুক্রবার গভীর রাতে কুলসুমের স্বামী মাওলানা ইউসুফ সরদার বাদী হয়ে অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।