হাকিম বাবুল, শেরপুর: বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল থেকে শেরপুরের কণা ও জোনাকি রবি ফাস্ট বোলার হান্টের চূড়ান্ত পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
শনিবার ময়মনসিংহে অনুষ্ঠিত বাছাইয়ে শেরপুর শহরের সজবরখিলা মহল্লার বাসিন্দা আলেয়া আক্তার কণা ও হাবিবা আক্তার জোনাকি যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৮৭ এবং ৮৬ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়ে পরবর্তী পর্বের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
কণা ও জোনাকি শেরপুরের অনুপ্রেরণা ক্রিকেট একাডেমির হয়ে ক্রিকেট খেলেন। এ ক্লাবের আরেক নারী ক্রিকেটার নিগার সুলতানা জ্যোতি বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের উইকেটরক্ষক কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলছেন। ময়মনসিংহের আরেক মেয়ে তাহমিনা আক্তার টুকটুকিও বাছাই পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
কণা ও জোনাকির প্রশিক্ষক মোখলেসুর রহমান স্বপন জানিয়েছেন, সার্কিট হাউজ মাঠে বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৯৮১ জন ফাস্ট বোলার গতি যাচাই পরীক্ষায় অংশ নেন। মেয়েদের বিভাগে জোনাকি ঘন্টায় ৮৭, ৮৫ এবং ৮৪ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়ে এবং কণা ঘন্টায় ৮৪ এবং ৮৬ কিলোমিটার গতিতে বল ছুড়ে ‘ইয়েস কার্ড’ পান। তাদের ঢাকায় প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে ডাকা হবে।
কণা ও জোনাকি জানান, ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছি।
সম্ভাবনাময় পুরুষ ও নারী পেস বোলারদের খুঁজে বের করতে সারা দেশে রবি ফাস্ট বোলার হান্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে।