বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাংলাদেশ টেলি কমিউনিকেশন লিমিটেডের (বিটিসিএল) বাগেরহাটের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সময়মতো বিল পরিশোধ করেও কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন জেলার অসংখ্য সরকারি ও বেসরকারি গ্রাহক।
ইন্টারনেটের ধীরগতি ও বারবার সংযোগ বিছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিচার বিভাগ ও গণমাধ্যম কর্মীদের। নিরবিচ্ছিন্ন সংযোগ না পাওয়ায় বিচার কাজে নানা জটিলতায় পড়তে হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। এ কারণে অনেক গ্রাহক তাদের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন। বিটিসিএলের গ্রাহকরা এই সংস্থাটির সেবার মান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
বাগেরহাটে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সংযোগ চালু হওয়ার পর অনেক গ্রাহক সংযোগ নিতে শুরু করে। প্রথম দিকে ইন্টারনেটে ধীরগতি থাকলেও তা তারা ব্যবহার করতে থাকে। গতির বিষয়ে বিটিসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে সামনে ঠিক হয়ে যাবে বলে তারা গ্রাহকদের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এতদিনেও তাদের সেবার মান উন্নত না হওয়ায় বাধ্য হয়ে এসব গ্রাহক তাদের সংযোগ ছেড়ে দিচ্ছেন।
গ্রাহকদের অভিযোগ সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটির কোন জবাবদিহিতা নেই। সবাই যখন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে ব্যস্ত সে সময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি তাদের খেয়াল খুশি মতো গ্রাহক সেবা দিচ্ছেন।
জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া বলেন, ধীরগতি ও বারবার সংযোগ বিছিন্ন হওয়ার কারণে উচ্চ আদালতের সাথে যোগাযোগ রাখতে অনেক সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে অনেক বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে। তিনি দ্রুত এই সমস্যা নিরসনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
বাগেরহাট প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. শাহ আলম টুকু বলেন, অনেক সময় ইন্টারনেট কানেকশন না পেয়ে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ পাঠাতে দুর্ভোগে পড়তে হয়। মাসে অধিকাংশ সময়ই এমন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধি আলী আকবর টুটুল বলেন, ‘আমি বিটিসিএল ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে তিন মাস ভোগান্তির পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে বাধ্য হয়েছি। বর্তমান ডিজিটাল যুগে বাগেরহাটে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টির জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
বাগেরহাট ডিজিটাল এক্সচেঞ্জের সহকারী প্রকৌশলী (ফোনস) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সড়কের উন্নয়নমূলক কাজের কারণে লাইন কাটা পড়ায় মাঝে মধ্যে সংযোগের কিছুটা সমস্যা হয়। বাগেরহাটে বিটিসিএলের ইন্টারনেট সংযোগের সক্ষমতার ২১৬ টির বিপরীতে ১৫২ টি সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি সকল গ্রাহককে অপটিকাল ফাইবারের আওতায় আনার।