জেএসসি-তে দিনাজপুর বোর্ডে পাশের হার ৯২.৯৯, ছাত্রীরা এগিয়ে, জেলায় সেরা রংপুর

রতন সিং, দিনাজপুর: দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় (জেএসসি) পাশের হার ৯২ দশমিক ৯৯। ২৭ হাজার ৮৯ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের পাশের হার ও জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও বেশি।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় দিনাজপুর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ তোফাজ্জুর রহমান ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলাফলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী পাশের হার ৯২ দশমিক ৯৯ ভাগ। গত বছর পাশের হার ছিল ৯১ দশমিক ৫২ ভাগ। ২ লাখ ২১ হাজার ২৪৩ জন পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করলেও পরীক্ষায় অংশ নেন ২ লাখ ১৬ হাজার ৭২১ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার ৭৪৭ জন ছাত্রী ও ১ লাখ ৪ হাজার ৯৭৪ জন ছাত্র। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ২ লাখ ১ হাজার ৫২৫ জন। ছাত্রীদের পাশের হার ৯৩ দশমিক ৪১। পাশের হারে ছাত্রীদের তুলনায় পিছিয়ে আছে ছাত্ররা। তাদের পাশের হার ৯২ দশমিক ৫৪ ভাগ।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ হাজার ৮৯ জন। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৫৫৪ জন ছাত্রী ও ১২ হাজার ৫৩৫ জন ছাত্র। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় এবারে জেএসসি পরীক্ষায় নকল করার দায়ে বহিস্কৃত হয় ২৬ জন পরীক্ষার্থী। ২৫০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৩ হাজার ১৪১টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা অংশ নিলেও শতভাগ পাশ করা স্কুলের সংখ্যা ৮৯৯টি। গতবার শতভাগ পাশ করেছিল ৮০২টি স্কুল।

সাফল্যের শীর্ষে রংপুর জেলা
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের জেএসসি পরীক্ষার সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। পাশের হার সর্বোচ্চ ৯৬ দশমিক ৪২। আর সর্বাধিক জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৭ হাজার ৫৫০ জন পরীক্ষার্থীর জেলাও রংপুর।

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের ২০১৬ সালের জেএসসি পরীক্ষার ফলাফল পরিসংখ্যানে দেখা যায়, জেলা ভিত্তিক সাফল্যের শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। এ জেলার পাশের হার ৯৬ দশমিক ৪২। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ছাত্রীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৪৪৪ জন ও ছাত্র ১৮ হাজার ৩৪ জন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির শীর্ষে রয়েছে রংপুর জেলা। ৭ হাজার ৫৫০ জন পরীক্ষার্থী এ জেলার জিপিএ-৫ পেয়েছে।

গাইবান্ধা জেলার পাশের হার ৯৫ দশমিক ৬০। উত্তীর্ণ ২৭ হাজার ২৩৯ জনের মধ্যে ১৩ হাজার ৮৫১ জন ছাত্র ও ১৩ হাজার ৩৮৮ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ হাজার ১৯৬ জন। নীলফামারী জেলার পাশের হার ৯২ দশমিক ৬৬। উত্তীর্ণ ২৪ হাজার ২৫৭ জনের মধ্যে ছাত্রী ১২ হাজার ৫২৯ জন ও ছাত্র ১১ হাজার ৭২৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৮৪৯ জন।

কুড়িগ্রাম জেলার পাশের হার ৯৩ দশমিক ৩১। উত্তীর্ণ ২২ হাজার ৭২৮ জনের মধ্যে ১১ হাজার ৫০৯ জন ছাত্র ও ১১ হাজার ২১৯ জন ছাত্রী। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ জন।

লালমনিরহাট জেলার পাশের হার ৯১ দশমিক ২৫। পাশ করা ১৭ হাজার ৮১২ জনের মধ্যে ৯ হাজার ৭৬৪ জন ছাত্রী ও ৮ হাজার ৪৮ জন ছাত্র। ১ হাজার ৬৭৫ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

দিনাজপুর জেলার পাশের হার ৮৮ দশমিক ৪৬। উত্তীর্ণ ৩৭ হাজার ৪০৯ জনের মধ্যে ১৯ হাজার ৪০৬ জন ছাত্রী ও ১৮ হাজার ৩ জন ছাত্র রয়েছে। জিপিএ-৫ পাওয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫৩৯ জন।

ঠাকুরগাঁও জেলার পাশের হার ৯৩ দশমিক ৭৯। ২০ হাজার ৫৪ জন উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ৫৭৯ জন ছাত্রী ও ৯ হাজার ৪৭৫ জন ছাত্র। ২ হাজার ১৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।

পঞ্চগড় জেলার পাশের হার ৯৩ দশমিক ০৯। পাশ করা ১৪ হাজার ৫৪৮ জনের মধ্যে ৮ হাজার ৫২ জন ছাত্রী ও ৬ হাজার ৪৯৬ জন ছাত্র। ১ হাজার ৪৫৫ জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.